এবিএনএ : ঈদুল আজহার দিন রাজধানীতে যদি ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিও হয়, এরপরও হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
যদি এরচেয়েও ভারী বর্ষণ হয় তাহলে সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হবে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থেকে বৃষ্টি হতে পারে।
সাঈদ খোকন বলেন, এবার যে আয়োজন করা হয়েছে তাতে পাঁচ হাজার মহিলাসহ ৯০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। মহিলাদের জামাতের জন্য এবারও পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিদের ওজু ও টয়লেটের জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্য, বিচারপতি ও কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক কাতারে নামাজ আদায় করবেন।
ঈদে জামাতের জন্য সুসজ্জিত করে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকে। প্রায় দুই লাখ ৫৯ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট জাতীয় ঈদগাহ বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি ও ত্রিপল টানানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বৃষ্টিতে যাতে সমস্যা না হয়, সেই জন্য ওপরে দেয়া হয়েছে মোটা ত্রিপলের ছাউনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
ওজু করার জন্য পানির ট্যাপগুলোকে ঠিকঠাক করে লাগানো হয়েছে। ১৪০ জন মুসল্লি একসঙ্গে ওজু করতে পারবেন এখানে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার থাকবে ঈদগাহ মাঠে। মাজারের শৌচাগার ব্যবহার করবেন ভিআইপিরা।
ঈদগাহ মাঠে ফটক রাখা হয়েছে তিনটি। মূল ফটক ছাড়াও দক্ষিণ পাশে ও মাজারের দিকে একটি ফটক করা হয়েছে।
জাতীয় ঈদগার দক্ষিণ পাশে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কূটনৈতিক মিশনের সদস্য ও তাদের স্ত্রীদের নামাজের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে কাঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না আনতে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।